কুমিল্লার মুরাদনগরে মা, ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের পীর কাশিমপুর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে শাহ আলমের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে এবং তিনি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর পরিবার ও বিএনপির স্থানীয় নেতারা এটিকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন।
শাহ আলমের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ সরকার বলেন, আমার বাবার বয়স ৭০ বছরের বেশি। অথচ এজাহারে যে শাহ আলমের নাম রয়েছে, তাঁর বয়স দেখানো হয়েছে ৪০ বছর। এমনকি তাঁর বাবার নামও অজ্ঞাত রাখা হয়েছে, যা সন্দেহজনক।
বিএনপির মুরাদনগর উপজেলা আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনার আগে বা পরে কোনো সিসিটিভি ফুটেজেও শাহ আলমকে দেখা যায়নি। তাঁর মতো একজন বৃদ্ধকে হয়রানি করা অন্যায়।
অন্যদিকে মামলার বাদী রিক্তা আক্তার জানিয়েছেন, তিনি শাহ আলম নাম শুনে মামলায় তাঁর নাম উল্লেখ করলেও পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন না। তিনি বলেন, যদি তিনি জড়িত না হন, আমি চাই না কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হোক।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটির এ পর্যন্ত ১০ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই সকালে কড়ইবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়িতে রোকসানা বেগম (৫৩), তাঁর ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার (২৯)কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা। মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ এখনো পলাতক রয়েছেন।
রিক্তা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, শিমুল গ্রেপ্তার না হলে আমি নিজেও হামলার শিকার হতে পারি। আমি দ্রুত তাঁর গ্রেপ্তার চাই।