গরমের শেষে বাজারে আসে এক বিশেষ ফল—কাঠলিচু। ছোট, গোলাকৃতি, হালকা বাদামি খোসায় মোড়া এই দেশি ফলটি সুস্বাদু তো বটেই, সঙ্গে রয়েছে চমৎকার পুষ্টিগুণও। পাকা কাঠলিচুর মিষ্টি স্বাদ আর সুগন্ধি রস মুখে দিলে নিমিষেই মুছে যায় গ্রীষ্মের ক্লান্তি।
কখন আসে কাঠলিচু?
বাংলাদেশে কাঠলিচু পাওয়া যায় জুনের শেষ থেকে জুলাই পর্যন্ত। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেটসহ উঁচু ও পাহাড়ি এলাকায় এর উৎপাদন বেশি হয়। এখন দেশের প্রায় সব বড় বাজারেই সহজলভ্য হয়ে উঠেছে এই রসালো ফল।
কাঠলিচুর বৈশিষ্ট্য
ছোট, গোলাকৃতি, খোসা হালকা বাদামি, ভেতরে সাদা রসালো শাঁস, মাঝখানে একটি বড় বীজ—এই হলো কাঠলিচুর সহজ পরিচয়। স্বাদে মিষ্টি, গন্ধে মনভোলানো, আর খেতে ঠান্ডা ধরনের বলে গরমকালে এটি বিশেষ আরাম দেয়।
পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
কাঠলিচুতে রয়েছে ভিটামিন 'সি', প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, হজমে সহায়ক উপাদান। এই ফল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, হজম শক্তি উন্নত করে, ত্বক উজ্জ্বল রাখে, শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, গ্রীষ্মে পানিশূন্যতা দূর করে।
কীভাবে খাবেন?
খোসা ছাড়িয়ে সরাসরি খাওয়া যায় কাঠলিচু। ঠান্ডা করে খেলে স্বাদ আরও বাড়ে। কেউ কেউ সালাদে, ডেজার্টে, এমনকি শরবতেও ব্যবহার করেন।