গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে এক ভয়াবহ দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন দেশের অভ্যন্তরে যেসব ঘটনা ঘটছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। অথচ এসব বিষয়ে সরকার নির্বিকার, অসহায় ও নীরব ভূমিকা পালন করছে। এখন বিচার বিভাগের ওপর সরাসরি চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
বিচার বিভাগের কাঠামোকে ভেঙে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ এনে তিনি আরও বলেন, অতীতের সব নিয়ম-কানুন এবং সংবিধানের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে নতুনভাবে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। হাইকোর্ট বেঞ্চে বিভাজন তৈরি করে বিভিন্ন এলাকায় পার্মানেন্ট বেঞ্চ গঠনের নামে ইউনিটারি সিস্টেম অব গভর্নমেন্ট ধ্বংস করা হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, ড. ইউনূস এবং অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল মিলে দেশে এক ধরনের ‘তালগোল’ পাকিয়ে ফেলেছেন। তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সুব্রত চৌধুরী বলেন, ১৮ কোটি মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। অর্ডিন্যান্সের পর অর্ডিন্যান্স জারি করে যা করা হচ্ছে, তা অবৈধ। আগামীতে নির্বাচিত সরকার এসব অর্ডিন্যান্স বাতিল করে দিলে তখন আপনাদের কী অবস্থা হবে? জনগণ তখন আপনাদের বিচার চাইবে।
বিচারপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে সংবিধান পরিপন্থী। যেভাবে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তা আগের সরকারের কর্মকাণ্ডের চেয়েও বিপজ্জনক। শেখ হাসিনা সরকার যেখানে বিচারপতি নিয়োগে নয়ছয় করেছিল, আপনি (ড. ইউনূস) সেখানে ১৮ আর ১২ শুরু করেছেন। আইনজীবী সমাজ এটি কখনোই মেনে নেবে না।
তিনি শেষ পর্যন্ত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, এই বিপথগামী প্রক্রিয়া থেকে দয়া করে সরে আসুন। দেশের বিচারব্যবস্থাকে রক্ষা করুন, সংবিধানের মর্যাদা বজায় রাখুন।