ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার পর কিছুক্ষণ পরই পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টার কিছু পরে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে ওই পোস্ট দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যাঁরা অর্থ সাহায্য করতে চান, তাঁরা উপরোক্ত ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের উল্লেখিত নম্বরে তা জমা দিতে পারেন। হিসাবের নাম: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল, চলতি হিসাব নম্বর-০১০৭৩৩০০৪০৯৩, সোনালী ব্যাংক লি., প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় করপোরেট শাখা।
পোস্টটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও শেয়ার করেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
পোস্ট দেওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী খাদিজাতুল কোবরা লিখেছেন, আমি এত দিনে বুঝতে পেরেছি, বন্যার সময় টাকা তুলব না বলাতে মানুষ কেন জিনিসটা মানতে পারে নাই। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা টাকা চাচ্ছে বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য! মাশা আল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আমার আসলেই আর কিছু বলার নাই।
আরেকজন মন্তব্য করেন, মানে একদিন না যাইতেই সরকারের ক্রাউড ফান্ডিংয়ে যাওয়া উচিত—এই বুদ্ধিটা কোন উজবুক সরকারকে দিল?
প্রচণ্ড সমালোচনার পর প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হলেও এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে প্রেস উইংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্টটি এখনও দেখা যাচ্ছে।