ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অভাবনীয় জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ মোট ২৮টি পদের মধ্যে ২৫টিতেই জয় পেয়েছে এ জোট। বাকি তিনটি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়
ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদুল ইসলাম খান (ছাত্রদল) পেয়েছেন ৫,৭০৮ ভোট।
জিএস পদে এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী তানভীর বারী হামিম (ছাত্রদল) পেয়েছেন ৫,২৮৩ ভোট।
এজিএস পদে মহিউদ্দীন খান পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫,০৬৪ ভোট।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদকসহ ক্রীড়া, পরিবহন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ, মানবাধিকার, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টসহ প্রায় সব সম্পাদকীয় পদে জয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মুসাদ্দিক আলী, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সানজিদা আহমেদ তন্বী এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদে যুবাইর বিজয়ী হয়েছেন।
প্রতিক্রিয়া ও অভিযোগ
নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম এ বিজয়কে “জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষার বিজয়” বলে অভিহিত করেছেন। জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর বিজয়, ব্যক্তিগত নয়।
তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও স্বতন্ত্র ঐক্যজোটের উমামা ফাতেমা। তাদের অভিযোগ, “এটি পরিকল্পিত প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়।”
প্রশাসন ও পর্যবেক্ষকরা
ঢাবি উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান দাবি করেছেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। একই মত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষক দল। তাদের মতে, কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও বড় কোনো অনিয়ম ঘটেনি।