সদ্য সমাপ্ত ৭০তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারপ্রাপ্তিতে আলিয়া ভাট নতুন রেকর্ড গড়েছেন; ‘জিগরা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন এবং নূতন ও কাজলের পাঁচবারের রেকর্ড পেছনে ফেলে ষষ্ঠবার এই খেতাব হাসিল করলেন। টানা তৃতীয়বার সেরা অভিনেত্রীর খেতাব ধারাবাহিকভাবে পাওয়ার মধ্য দিয়ে এই অর্জন আরও বিতর্ক ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরস্কার নিয়ে তীব্র মতদ্বৈততা দেখা যাচ্ছে; কেউ বলছে ফিল্মফেয়ারের ওপর এখন ‘আলিয়া ফেয়ার’ বলে ধারণা আরও মজবুত হয়েছে, আবার অনেকে মনে করেন এ বছর আলিয়ার ছয়বার জয়ের সঙ্গত কারণ রয়েছে এবং মনোনীত অন্যান্য অভিনেত্রী-কারিনা কাপুর খান, কৃতি শ্যানন, শ্রদ্ধা কাপুর, ইয়ামি গৌতম বা টাবু-এর তুলনায় আলিয়ার ভূমিকা শ্রেষ্ঠ ছিল। পূর্বের জয়গুলো আলিয়াকে ‘উড়তা পাঞ্জাব’, ‘রাজি’, ‘গাল্লি বয়’, ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ ও ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ থেকে এনে দিয়েছে।
নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার একাংশ সামাজিক মাধ্যমে তিক্ত সমালোচনায় ব্যস্ত; কেউ লিখেছেন, ‘টানা এতবার পুরস্কার দিলেই কি যথার্থ বিচার হচ্ছে?’ আবার কেউ কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘ফিল্মফেয়ার এখন আনুষ্ঠানিকভাবে আলিয়া ভাটকে আজীবন বিজয়ী ঘোষণা করুক।’ অন্য দিকে অনেকে পুরোনো কিংবদন্তিদের সঙ্গে তুলনা করে দেখছেন এবং বলছেন আলিয়া এখনও তাদের স্তরে পৌঁছেননি-তবে অনেকে আলিয়ার দক্ষতা, অভিনয় সক্ষমতা ও ফিল্মফেয়ার জয়ের যোগ্যতাও স্বীকার করছেন।
ভাসান বালা পরিচালিত ‘জিগরা’তে আলিয়া ভাট একটি বোন-ভাইর আবেগঘন গল্পে সংবেদনশীল ও অ্যাকশনবহুল চরিত্রে দেখা গেছেন; ছবিতে বেদাঙ্গ রায়না আলিয়ার ভাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন ছবিটির প্রযোজনা করেছে এবং আলিয়ার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইটারনাল সানশাইন প্রোডাকশনসও এতে যুক্ত ছিল। মুক্তির পর ছবিটি দর্শক ও সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে-কেউ আলিয়ার অভিনয় প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ সিনেমার সাফল্য ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলিয়া এখনো এই বিতর্ক নিয়ে প্রকাশ্যভাবে বড় কোনো বক্তব্য দেননি।