নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিজয়নগর, ঢাকা; দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ”বাংলাদেশ ইনোভেশন পার্টির” বর্ধিত সভা। ৩০ জুন ২০২৫ সোমবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর বিজয়নগরের ট্যাপা কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ সভায় উঠে আসে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই বাংলাদেশের স্বপ্ন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত রহমান হিমেল, এবং সভাপতিত্ব করেন দলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল মোল্যা।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার টুটুল সর্দার,কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ সাফায়েত হোসেন, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পী বাঁধন খান ও প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ ইনোভেশন পার্টির চেয়ারম্যান উজ্জ্বল মোল্যা তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা কারো প্রতিপক্ষ হতে চাই না। আমরা চাই দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনমান উন্নত হোক। বাংলাদেশ ইনোভেশন পার্টি এমন একটি রাজনীতি চায় যেখানে সম্মান থাকবে, উন্নয়ন থাকবে, থাকবে উদ্ভাবনী চিন্তা। দেশের এই কঠিন সময়ে আমরা সংঘাত নয়, সংলাপ ও সহযোগিতার রাজনীতি চাই।”
দলের ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত রহমান হিমেল তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রয়েছে। আমরা চাই তরুণ সমাজ রাজনীতিতে ফিরে আসুক, নিজেদের দায়িত্ব বুঝুক এবং উদ্ভাবনী চিন্তায় দেশের উন্নয়নে অবদান রাখুক। ইনোভেশন পার্টি তার প্ল্যাটফর্ম সেই সুযোগ তৈরি করছে। আমাদের লক্ষ্য ইতিবাচক পরিবর্তন।”
দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব হাবিবুর রহমান বাবু তাঁর বক্তব্যে বলেন, “রাজনীতি হতে হবে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার, আর আমরা সেটাই করছি। আমাদের দল চাই প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি, শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ এবং একটি সবুজ, মানবিক বাংলাদেশ। কোনো দলে নয়, আমরা দেশের মানুষের পাশে থাকতে চাই সবসময়।”
দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমাদের রাজনীতি শুধু ভোট নয়, দায়বদ্ধতা ও সেবার জায়গা। বাংলাদেশ ইনোভেশন পার্টি দেশের প্রতিটি সমস্যার অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে সমাধান দিতে চায়। আমরা তরুণদের, শ্রমিকদের, শিক্ষার্থীদের এবং কৃষকদের নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।”
দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার টুটুল সর্দার তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বিশ্ব বদলে যাচ্ছে, বাংলাদেশকেও বদলাতে হবে। এই বদলে যাওয়ার পথে আমরা চাই—শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ, টেকসই অবকাঠামো, এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। ইনোভেশন পার্টি সেই নতুন দিনের জন্য প্রস্তুত।”
দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাফায়েত হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা রাজনীতিকে মানবিকতা, উদ্ভাবন এবং তরুণ নেতৃত্ব দিয়ে গড়ে তুলতে চাই। এক নতুন ধারা আনতে চাই যেখানে বিভাজনের নয়, মিলনের গল্প তৈরি হবে।”
অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী বাঁধন খান তাঁর বক্তব্যে বলেন,“রাজনীতি যদি সংস্কৃতি ও সাধারণ মানুষের অনুভূতির সম্মান রাখে, তবেই তা সুন্দর হয়ে ওঠে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ইনোভেশন পার্টির মত ইতিবাচক চিন্তাধারার দল দেশের জন্য আশার আলো হতে পারে।”
সভায় বক্তারা স্পষ্টভাবে জানান—বাংলাদেশ ইনোভেশন পার্টি কারো বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশের উন্নয়ন, শান্তি এবং তরুণ সমাজের অগ্রযাত্রায় কাজ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস না রেখে, তারা একটি উদ্ভাবনী, দায়িত্বশীল ও মানবিক রাজনৈতিক ধারা গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই সভা যেন এক নতুন রাজনৈতিক বার্তা দিল—“সমাধানের পথই আসল পথ”।