ঢাকার যাত্রাবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে শরীয়তপুরগামী বাস চলাচলে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। চাঁদা না দেওয়ায় বাসে হামলা চালানো হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাস। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নাম উঠে এসেছে যাত্রাবাড়ি এলাকার যুবদল নেতা মুশফিকুর রহমান ফাহিমের।
অভিযোগ, ফাহিম শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের মালিকদের কাছে এককালীন ৫ কোটি টাকা অথবা মাসিক ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। দাবি না মানায় যাত্রাবাড়ি স্ট্যান্ডে তাদের বাস ঢুকলেই হামলা হচ্ছে। স্থানীয় টোকাইদের ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে এসব হামলা।
শরীয়তপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. ফারুখ আহমেদ তালুকদার বলেন,“ফাহিমের নেতৃত্বে আমাদের বাসে হামলা চালানো হচ্ছে। যাত্রাবাড়ি থেকে যাত্রী তুলতে পারছি না। বাধ্য হয়ে বাস খালি করে ধোলাইপার হয়ে ফিরতে হচ্ছে। আমরা থানায়, এমনকি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও লিখিত অভিযোগ করেছি।”
ফেসবুকে এ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শরীয়তপুর আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির নিজের পোস্টে লিখেছেন,“৫ কোটি চাঁদা না দিলে বাস বন্ধ— এটা কি প্রশাসনের ব্যর্থতা, নাকি চাঁদাবাজদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ? শরীয়তপুরবাসী কি মুখ বুজে সহ্য করবে?”
একইসঙ্গে জাহিদ হাসান নামে একজন ফেসবুকে ফাহিমের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,“এই সেই চাঁদাবাজ যুবদল নেতা ফাহিম। তার জন্য হাজারো যাত্রী এখন বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে। নারী-শিশু-বৃদ্ধ সবাই ভোগান্তিতে।”
অন্যদিকে, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম তালুকদার অভিযোগ সম্পর্কে বলেন,“আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।”
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন,“বিষয়টি যেহেতু ঢাকার, তাই আমরা কিছু জানি না।”
এ ঘটনায় পুরো শরীয়তপুর জুড়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে— ঢাকার বুকে দিনের আলোয় এমন চাঁদাবাজি চলে কীভাবে? আর প্রশাসন কেন নিরব? স্থানীয়রা বলছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।