স্থগিত ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
এর আগে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের কথা ছিল। এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। শুধু সদস্যপদেই লড়তেন সবচেয়ে বেশি ২১৭ জন প্রার্থী। আর ১৮টি হলে ১৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য চূড়ান্তভাবে প্রার্থী তালিকায় ছিলেন ১ হাজার ৩৫ জন।
প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এছাড়া ২৮ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকার কথা ছিল।
বিভিন্ন পদে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল নিম্নরূপঃ
সহসভাপতি (ভিপি): ৪৫ জন
সাধারণ সম্পাদক (জিএস): ১৯ জন
সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস): ২৫ জন
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক: ১৭ জন
কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক: ১১ জন
আন্তর্জাতিক সম্পাদক: ১৪ জন
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: ১৯ জন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: ১২ জন
গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক: ৯ জন
ক্রীড়া সম্পাদক: ১৩ জন
ছাত্র পরিবহন সম্পাদক: ১২ জন
সমাজসেবা সম্পাদক: ১৭ জন
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: ১৫ জন
মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক: ১১ জন
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক: ১৫ জন
সদস্যপদ: ২১৭ জন
ফলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন আবারও আদালতের আদেশে স্থগিত হয়ে গেল।