সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরপাড়ে শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে এক নারী গ্রাম পুলিশের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া ও প্রশ্নের ঘূর্ণি। নিহতের নাম আন্না রানী দাস (৩৮)। তিনি সলঙ্গা থানার ভরমোহনী মধ্যপাপাড়া (নিশিপাড়া) গ্রামের মৃত বিজেন চন্দ্র দাসের স্ত্রী এবং সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের নারী গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শনিবার সকালে স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের পাশের পুকুরপাড়ে অচেতন অবস্থায় এক নারীর দেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ব্রজেশ্বর আমিন জানান, মরদেহের শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলায় জখমের দাগ রয়েছে, যা প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ বা আত্মহত্যা-দুটির কোনো একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিতে পারে।
পুলিশের ধারণা, ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে মরদেহটি সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আন্না রানী ছিলেন পরিশ্রমী ও সৎ কর্মচারী। নিজের দায়িত্ব পালন ছাড়াও সামাজিক কাজে ছিলেন সক্রিয়। তার আকস্মিক মৃত্যুতে সহকর্মী ও স্থানীয়রা শোকাহত।
একজন সহকর্মী বলেন, তিনি সবসময় হাসিখুশি ছিলেন। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, আমরা বুঝতে পারছি না।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ তারা বুঝে উঠতে পারছেন না। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জলিলুর রহমান জনি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি