বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা আজ সেই মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে - এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্যই।শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
টুকু আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ হতো না। আর জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না দিলে এই ভূখণ্ড হতো না। কিন্তু শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে আজ কলুষিত করেছেন।
তিনি ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলার প্রবণতার সমালোচনা করে বলেন, সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র ও পতাকা দিয়েছে, সেটাই স্বাধীনতা। দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।
নতুন নির্বাচন ব্যবস্থা পিআর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুকু বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে - পিআর পদ্ধতি। এই পদ্ধতি হলো ‘ভোট হবে সন্দ্বীপে, প্রার্থী থাকবে মালদ্বীপে’। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রার্থীকে চিনে-জেনে ভোট দিতে চায়। পিআর পদ্ধতি মানুষ খায়ও না, পড়ে না, বিশ্বাসও করে না।
শহরের বেলটিয়া মাঠে আয়োজিত এই সম্মেলনে জেলার ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। ৯ বছর পর আয়োজিত এ সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমকে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।