বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম সং ‘কাঁটা লাগা’ দিয়ে রাতারাতি পরিচিতি পাওয়া অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা আর নেই। ৪২ বছর বয়সে হঠাৎই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন এই প্রাণবন্ত তারকা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে মুম্বাইয়ে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে বলিউড অঙ্গনে।
তবে শেফালির মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে মুম্বাই পুলিশ এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল।
শেফালির ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত, প্রাণবন্ত ও শিশুপ্রেমী একজন মানুষ। বহুবার প্রকাশ করেছেন মা হওয়ার প্রবল ইচ্ছার কথা। সন্তান জন্ম না দিলেও তিনি ও তার স্বামী পরাগ টাইগার একটি কন্যাশিশু দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। শুরু করেছিলেন আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াও। কিন্তু সেই দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই থেমে গেল তাঁর জীবনযাত্রা।
শেফালির বাবা জানান, ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে দত্তক নেওয়ার প্রতি আগ্রহ ছিল। তবে তিনি চাইতেন, মেয়ে প্রথমে নিজে মা হয়ে উঠুক, তারপর দত্তক নিক আরেকটি সন্তান।
এক সাক্ষাৎকারে শেফালি বলেছিলেন, “আমি চাই একজন শিশুকে দত্তক নিয়ে তাকে সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দিতে। আমি যখন আমার স্বামী পরাগকে বলি, সে সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যায়। ও বলেছিল, ‘তুমি যা চাও, আমি পাশে আছি।’”
তবে শেফালি এটাও জানিয়েছিলেন, ভারতে দত্তক প্রক্রিয়া খুব সহজ নয়। করোনা মহামারির সময় শুরু করা সেই প্রক্রিয়াটি লকডাউনের কারণে থমকে যায়। সাধারণত দত্তক নেওয়ার পুরো প্রক্রিয়ায় দুই থেকে তিন বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
শেফালিকে প্রায়ই দেখা যেত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে, ছবি তুলতে ও শেয়ার করতে। কিন্তু বাস্তবে তিনি আর মা হতে পারলেন না। এই অসমাপ্ত স্বপ্ন নিয়েই অবসান ঘটল ‘কাঁটা লাগা’ গার্লের জীবন।
শোকস্তব্ধ বলিউড, তাঁর পরিবার ও ভক্তরা এখন একটাই কথা বলছেন— “শেফালি খুব ভালো মা হতেন, কিন্তু নিয়তি তাঁকে সে সুযোগ দিল না।”