রাজনীতির শেল্টার ছাড়া দেশে খুন, হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটছে না—এমন অভিযোগ তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির মতে, প্রতিটি খুনের পেছনে রয়েছে এক ধরনের রাজনৈতিক ইন্ধন, আর এসব অপরাধীদের তৈরি করছে রাজনৈতিক শক্তির আশ্রয়।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশীদ)। মিটফোর্ড হাসপাতালে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ-কে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি খুন, হামলা, মামলা—এর পেছনে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া কাজ করছে। এসব হায়েনা ও দানবদের পেছনে রয়েছে ক্ষমতার রাজনীতি। এমনকি হত্যাকাণ্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, লাশের ওপর নাচানাচি করা হচ্ছে—যা বর্বরতার চূড়ান্ত উদাহরণ।’
তিনি দাবি করেন, দেশে আইয়ামে জাহেলিয়াত-এর মতো অন্ধকার যুগ ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে। আর সেই ষড়যন্ত্রে সহযোগিতা করছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি ভারতের মাটিতে বসেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংগঠনটির অভিযোগ, বিএনপি নেতৃত্বের অনেকে এক সময় আওয়ামী স্বৈরাচারীদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসা চালিয়ে গেছেন। তাই এখন নতুন করে কাউকে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন রশিদুল।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘হত্যার প্রতিবাদে মিছিল হলেই অংশগ্রহণকারীদের উপর “শিবির”, “জঙ্গি”, “বিএনপি-সম্পৃক্ত”, “হাসিনাপন্থী” ইত্যাদি ট্যাগ লাগিয়ে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা শেখ হাসিনার প্রতিষ্ঠিত একটি কৌশল।’
সংবাদ সম্মেলনের শেষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনামুল হাসান ঘোষণা দেন, আজ সন্ধ্যা সাতটায় শাহবাগ মোড়ে মশালমিছিল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে দেশের সব ছাত্র-জনতাকে নিজ নিজ জায়গা থেকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।