রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে এবং কোনো পক্ষপাতিত্ব করছে না। আগের কমিশনের মতো চাপের মুখে নেই তারা। তবে যেদিন সরকার নিজের মতো করে কাজ করাতে চাইবে, সেদিন তিনি আর দায়িত্বে থাকবেন না—এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত।
তিনি আরও বলেন, পূর্ববর্তী নির্বাচনে যারা অনিয়ম করেছেন, তাদের আর দায়িত্বে রাখা হবে না। কমিশনের অধীনে থাকা ৫৭০০ কর্মকর্তার মধ্যে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে অনিয়ম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কে না গিয়ে তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে, রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়েছে, সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে এবং শুনানি শুরু হচ্ছে।
আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতির বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধানে এই পদ্ধতির উল্লেখ নেই, তাই আইন পরিবর্তন না হলে নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন সম্ভব নয়। সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের পদায়ন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা ব্যালট বাক্স দখলের স্বপ্ন দেখছেন, তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে যাবে। অস্ত্রবাজি করে ভোটে জেতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটকেন্দ্র দখল হলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে। সিইসির এই বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও কঠোর অবস্থানের বার্তা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।