ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে মসজিদের চাবি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ। এ সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকেই বাহিরদিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্যা গ্রুপের সঙ্গে মৌলভী হেমায়েত হোসেনের বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে লুৎফর ও ইমরানপক্ষের অনুসারী নজরুলের কাছে থাকা স্থানীয় মসজিদের চাবি চাইতে গেলে হেমায়েতপক্ষের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
রাতে স্থানীয় আলেম-ওলামা, মাদরাসাশিক্ষক ও বিএনপি নেতারা ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু শুক্রবার ভোরে হেমায়েতপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইমরানপক্ষের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে, যা প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।