চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা সফলভাবে সম্পন্ন করায় ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তিনি বলেছেন, এ বছর হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো অভিযোগ আসেনি, সবাই প্রশংসা করেছে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আন্তরিকভাবে পরিশ্রম করেছেন, এজন্য সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন সকালে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনা আরও সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশনা দেন, বলেন, চলতি বছরের ছোটখাটো যেসব ত্রুটি ধরা পড়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন না ঘটে, পাশাপাশি আগেভাগেই হজ রোডম্যাপ প্রকাশ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পরিকল্পনার বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনার জন্য রোডম্যাপ ইতোমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে, আগামী ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের হজ কোটা ঘোষণা করা হবে।
ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক জানান, সৌদি সরকারের নির্দেশনা ও সময়সূচি অনুসরণ করে হজ ২০২৬-এর জন্য পূর্ণাঙ্গ ক্যালেন্ডার, চেকলিস্ট ও কার্যপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, হজযাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে ভিসা ও ফ্লাইট কার্যক্রম পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, ২১ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন, ১ ডিসেম্বর ২০২৫-এ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি, ৪ জানুয়ারি ২০২৬-এ ভেন্ডর ও কোয়াটেশন অনুমোদনের কার্যক্রম, ২০ মার্চ ২০২৬-এ ভিসা প্রদান শুরু এবং ১৮ এপ্রিল ২০২৬-এ ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হবে, সর্বশেষ ২৯ মে ২০২৬ তারিখে পবিত্র হজের টেস্ট বা সেবা যাচাইকরণ সম্পন্ন হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হজযাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি, যেন সবাই নির্বিঘ্নে, সুশৃঙ্খলভাবে ও সঠিক ধর্মীয় নিয়ম মেনে হজ পালন করতে পারেন, তিনি সফল ও দুর্নীতিমুক্ত হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান এবং আগামী বছরগুলোতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।