ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পলাশবাড়ীর বেত কাপা ইউনিয়ন পরিষদে রোহিঙ্গা সনদ প্রদান করায় তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান নোয়াখালী সোনাইমুড়িতে বৈদ্যুতিক মিটারের সংযোগ নিয়ে দ্বন্দ্বে এক বৃদ্ধ ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের আওতায় পলাশবাড়ী এডিপি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ জামিনে মুক্তির পর গাইবান্ধা কারাগার গেট থেকে পৌর আ.লীগ নেতা গ্রেফতার ভিত্তিহীন অভিযোগেদলকে জড়িয়ে মানববন্ধন বিচার চাইলেন কৃষকদল নেতা  ঘাঘট নদীর পাড়ে ঘাঘট শিশু পার্ক এলাকায় ‘মানববন্ধন’ নামে একটি মুক্তমঞ্চের ভিত্তি প্রস্থর স্হাপন সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান – বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে ভূইয়ারহাট বাজারের ড্রেন এর কাজ। ‎গোবিন্দগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুলের‎বিচারের দাবিতে সাঁওতালদের সমাবেশ গাইবান্ধায় কৃষকদল ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভ

গোবিন্দগঞ্জে স্কুল ছাত্র সাব্বির হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

NewsTimes24BD
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে নবম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সাব্বিরকে অপহরণের পর হত্যার প্রতিবাদে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও ঘন্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।পরে উপজেলা নির্বাহী অফিস সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানার নেতৃত্বে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক বিচারে আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ঘটনার বিবরনে উল্লেখ থাকে যে,
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বোনকে ডিভোর্সের জেরে সাব্বিরকে অপহরন করা হয়। অপহরণের তিনদিনপর গত ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকা থেকে একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের কূপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য।
নিহত সাব্বির হোসেন (১৬) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে বিশুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

এর আগে, গত শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজার থেকে সাব্বিরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় ইউনুস আলী ও রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় অপহরণের অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জ থানায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলী।

নিহত সাব্বিরের বাবার অভিযোগ, উপজেলার তরফকামাল (শিয়ালগারা) গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে ইউনুস আলীর সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের কিছুদিন পর ডিভোর্স হয়। এই ডিভোর্সের ক্ষোভ থেকে সাব্বিরকে পরিকল্পিতভাবে ইউনুস আলী, রবিউল ও আলীমসহ কয়েকজন সাব্বিরকে অপহরণের পর হত্যা করেছে। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে সাব্বিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানাার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকার দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে পরিত্যক্ত একটি টয়লেটের কূপে অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী।পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে মরদেহটি সাব্বিরের লাশ শনাক্ত করে। সাব্বিরকে অপহরণের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। আজ ১৬ এপ্রিল সাব্বির হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে
গোবিন্দগঞ্জ থানাার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন,অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম (১৮) ও আব্দুল আলীম (১৮) ও কবিরুল ইসলামকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অপর অভিযুক্ত ইউনুস আলীকে (৩৫) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাবের সদস্যরা।
মামলার ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক বিচার ও শাস্তির আস্বাস দেন।

গাইবান্ধা থেকে মোঃ আবু জাফর মন্ডল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোবিন্দগঞ্জে স্কুল ছাত্র সাব্বির হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে নবম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সাব্বিরকে অপহরণের পর হত্যার প্রতিবাদে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও ঘন্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।পরে উপজেলা নির্বাহী অফিস সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানার নেতৃত্বে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক বিচারে আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ঘটনার বিবরনে উল্লেখ থাকে যে,
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বোনকে ডিভোর্সের জেরে সাব্বিরকে অপহরন করা হয়। অপহরণের তিনদিনপর গত ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকা থেকে একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের কূপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য।
নিহত সাব্বির হোসেন (১৬) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে বিশুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

এর আগে, গত শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজার থেকে সাব্বিরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় ইউনুস আলী ও রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় অপহরণের অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জ থানায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলী।

নিহত সাব্বিরের বাবার অভিযোগ, উপজেলার তরফকামাল (শিয়ালগারা) গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে ইউনুস আলীর সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের কিছুদিন পর ডিভোর্স হয়। এই ডিভোর্সের ক্ষোভ থেকে সাব্বিরকে পরিকল্পিতভাবে ইউনুস আলী, রবিউল ও আলীমসহ কয়েকজন সাব্বিরকে অপহরণের পর হত্যা করেছে। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে সাব্বিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানাার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকার দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে পরিত্যক্ত একটি টয়লেটের কূপে অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী।পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে মরদেহটি সাব্বিরের লাশ শনাক্ত করে। সাব্বিরকে অপহরণের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। আজ ১৬ এপ্রিল সাব্বির হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে
গোবিন্দগঞ্জ থানাার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন,অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম (১৮) ও আব্দুল আলীম (১৮) ও কবিরুল ইসলামকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অপর অভিযুক্ত ইউনুস আলীকে (৩৫) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাবের সদস্যরা।
মামলার ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক বিচার ও শাস্তির আস্বাস দেন।

গাইবান্ধা থেকে মোঃ আবু জাফর মন্ডল