ঢাকা ১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পলাশবাড়ীর বেত কাপা ইউনিয়ন পরিষদে রোহিঙ্গা সনদ প্রদান করায় তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান নোয়াখালী সোনাইমুড়িতে বৈদ্যুতিক মিটারের সংযোগ নিয়ে দ্বন্দ্বে এক বৃদ্ধ ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের আওতায় পলাশবাড়ী এডিপি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ জামিনে মুক্তির পর গাইবান্ধা কারাগার গেট থেকে পৌর আ.লীগ নেতা গ্রেফতার ভিত্তিহীন অভিযোগেদলকে জড়িয়ে মানববন্ধন বিচার চাইলেন কৃষকদল নেতা  ঘাঘট নদীর পাড়ে ঘাঘট শিশু পার্ক এলাকায় ‘মানববন্ধন’ নামে একটি মুক্তমঞ্চের ভিত্তি প্রস্থর স্হাপন সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান – বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে ভূইয়ারহাট বাজারের ড্রেন এর কাজ। ‎গোবিন্দগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুলের‎বিচারের দাবিতে সাঁওতালদের সমাবেশ গাইবান্ধায় কৃষকদল ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভ

অত্যাচার ও হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে হেমন্ত চন্দ্রের পরিবার

NewsTimes24BD
  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে

প্রভাবশালী শফিকুল ইসলামের অত্যাচার ও হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অসহায় সংখ্যালঘু হেমন্ত চন্দ্র বর্মনের পরিবার। জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শেষে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ঝাপড় গ্রামের হেমন্ত চন্দ্র বর্মণ ওরফে কালিয়া সাধু প্রায় ১৫ বছর আগে ওই গ্রামের শফিকুল ইসলামসহ ৯ জনের কাছে ৫০ শতক জমি বিক্রি করেন। এরপর থেকে ক্রেতারা জমি ভোগদখল করছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মৃত একাব্বর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘু হেমন্ত চন্দ্র বর্মণের বাড়িঘর ও সম্পদ দখলের পাঁয়তারা করতে থাকে।

এরই জেরে তিনি তার পরিবারের ওপর অত্যাচার শুরু করে। শফিকুল ইসলাম ও তার লোকজনের বাধা ও হুমকির মুখে হেমন্ত চন্দ্র চলতি বছর ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে পারেননি। এছাড়াও হুমকির কারণে তিনি পানের বরজ ও কলা বাগানের ফসল ভোগ করতে পারছেন না। উপরন্তু গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শফিকুল ও তার পালিত দুর্বৃত্ত বাহিনী হেমন্ত চন্দ্রের বাড়িতে আক্রমণ করে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি, মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও গরুসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থানায় মামলা করতে যান ভুক্তভোগী হেমন্ত চন্দ্র বর্মণ। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ তার মামলাটি গ্রহণ না করে উল্টো প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলামের মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করে।

বর্তমানে শফিকুল ইসলামের হুমকিতে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে হেমন্ত চন্দ্রের পরিবার। সংবাদ সম্মেলন শেষে ভুক্তভোগী পরিবারের মহিলা ও শিশুসহ লোকজন প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পলাশবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্টুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলামের পক্ষ অবলম্বন করে বলেন, হেমন্ত চন্দ্র বর্মণের লোকজনই আগে শফিকুলকে আক্রমণ করেছে। তবে দুই পক্ষেরই মামলা থানায় রেকর্ড করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৈতন্য চন্দ্র, আলতু চন্দ্র, লালু চন্দ্র, পরিমল চন্দ্র, বিনয় চন্দ্র, নিম বাবু, প্রতিমা রাণী, রিতু রাণী, ববিতা রাণী, সুমনা রাণী, উষা রাণী ও মালতি রাণী।

-জোবায়দুর রহমান জুয়েল (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অত্যাচার ও হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে হেমন্ত চন্দ্রের পরিবার

আপডেট সময় : ০৩:০৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

প্রভাবশালী শফিকুল ইসলামের অত্যাচার ও হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অসহায় সংখ্যালঘু হেমন্ত চন্দ্র বর্মনের পরিবার। জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শেষে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ঝাপড় গ্রামের হেমন্ত চন্দ্র বর্মণ ওরফে কালিয়া সাধু প্রায় ১৫ বছর আগে ওই গ্রামের শফিকুল ইসলামসহ ৯ জনের কাছে ৫০ শতক জমি বিক্রি করেন। এরপর থেকে ক্রেতারা জমি ভোগদখল করছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মৃত একাব্বর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘু হেমন্ত চন্দ্র বর্মণের বাড়িঘর ও সম্পদ দখলের পাঁয়তারা করতে থাকে।

এরই জেরে তিনি তার পরিবারের ওপর অত্যাচার শুরু করে। শফিকুল ইসলাম ও তার লোকজনের বাধা ও হুমকির মুখে হেমন্ত চন্দ্র চলতি বছর ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে পারেননি। এছাড়াও হুমকির কারণে তিনি পানের বরজ ও কলা বাগানের ফসল ভোগ করতে পারছেন না। উপরন্তু গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শফিকুল ও তার পালিত দুর্বৃত্ত বাহিনী হেমন্ত চন্দ্রের বাড়িতে আক্রমণ করে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি, মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও গরুসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থানায় মামলা করতে যান ভুক্তভোগী হেমন্ত চন্দ্র বর্মণ। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ তার মামলাটি গ্রহণ না করে উল্টো প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলামের মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করে।

বর্তমানে শফিকুল ইসলামের হুমকিতে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে হেমন্ত চন্দ্রের পরিবার। সংবাদ সম্মেলন শেষে ভুক্তভোগী পরিবারের মহিলা ও শিশুসহ লোকজন প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পলাশবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্টুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলামের পক্ষ অবলম্বন করে বলেন, হেমন্ত চন্দ্র বর্মণের লোকজনই আগে শফিকুলকে আক্রমণ করেছে। তবে দুই পক্ষেরই মামলা থানায় রেকর্ড করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৈতন্য চন্দ্র, আলতু চন্দ্র, লালু চন্দ্র, পরিমল চন্দ্র, বিনয় চন্দ্র, নিম বাবু, প্রতিমা রাণী, রিতু রাণী, ববিতা রাণী, সুমনা রাণী, উষা রাণী ও মালতি রাণী।

-জোবায়দুর রহমান জুয়েল (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি)