নোয়াখালী সোনাইমুড়িতে বৈদ্যুতিক মিটারের সংযোগ নিয়ে দ্বন্দ্বে এক বৃদ্ধ ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন

- আপডেট সময় : ০১:০২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫ ০ বার পড়া হয়েছে
মঙ্গলবার(৬ মে) সকালে উপজেলার বারাহিনগর গ্রামের ইসহাক ব্যাপারি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে আহত বৃদ্ধ ব্যাপারি বাড়ির মোঃ মফিজ মিয়া (৭০) ও তার ছেলে ফারুক আহম্মেদ(৩০)। হামলাকারী একই বাড়ির চৌধুরী মিয়ার ছেলে মোঃ রিয়াদ(৩২)।
জানা যায়, বৈদ্যুতিক মিটারের সংযোগ নিয়ে গত কয়েক মাস থেকে আহত মফিজ মিয়ার পরিবারের সাথে রিয়াদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বিভিন্ন সময় মিটারের সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে ঘরোয়া ভাবে শালিসের মাধ্যমেও সমাধান হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে দোকানে যাওয়ার সময় পথে বৃদ্ধ মফিজ মিয়ার সাথে মোঃ রিয়াদের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে দুই পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে জড় হয়। এসসময় রিয়াদের মাজায় থাকা ছুরি বের করে হামলা করলে মফিজ মিয়ার ছেলে ফারুক আহম্মেদ বাঁধা দেয়। এতে তার ডান হাতের একটি আঙ্গুল কেটে যায়। পরে আরেকবার হামলা করলে সেটি বৃদ্ধ মফিজ মিয়ার বাম হাতের কব্জিতে লাগে। হাতের কব্জি কেটে গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় পরে জরুরী অপারেশনের জন্য মাইজদীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলার শিকার ফারুক আহম্মেদ জানান, তারা দালান ঘর নির্মাণের জন্য তাদের বৈদ্যুতিক মিটার খুলে প্রতিবেশী রিয়াদের বেড়ায় লাগায়। বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ হলে মিটারের সংযোগ নিজের দালান ঘরে লাগাতে চাইলে বিদ্যুৎতের মিটার দিতে অস্বীকৃতি জানায় রিয়াদ। এক ঘটনা নিয়ে কয়েকবার বিদ্যুৎ অফিসের লোকেরা আসলেও তারা মিটারের সংযোগ দিতে বাঁধা দেয়। এই ঘটনায় দুই পরিবারের মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ঘটনার দিন সকালে একেবারে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাবাকে গালিগালাজ ও মারধর করতে থাকে রিয়াদ ও তার পরিবার। একপর্যায়ে রিয়াদ ছুরি দিয়ে হামলা করে।
আহত মফিজ মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, হামলায় তার বাম হাতের তিনটি শিরা কেটে গিয়েছে। জরুরী ভাবে অপারেশন করতে হয়েছে। তিনি এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
অপর দিকে রিয়াদ জানান, তিনি কোন ধরনের হামলা করেননি। বৃদ্ধের ছেলে ফারুক ছুরি নিয়ে তার ওপরে হামলা করতে আসে। এসময় বৃদ্ধ ঠেকাতে গেলে হাতে আঘাত পান। স্থানীয় অনেকেই ঘটনাটি দেখেছেন বলে দাবি তার।
এদিকে এই ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি সোনাইমুড়ী থানায়। চিকিৎসা নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সোনাইমুড়ী নোয়াখালী