ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পলাশবাড়ীর বেত কাপা ইউনিয়ন পরিষদে রোহিঙ্গা সনদ প্রদান করায় তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান নোয়াখালী সোনাইমুড়িতে বৈদ্যুতিক মিটারের সংযোগ নিয়ে দ্বন্দ্বে এক বৃদ্ধ ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের আওতায় পলাশবাড়ী এডিপি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ জামিনে মুক্তির পর গাইবান্ধা কারাগার গেট থেকে পৌর আ.লীগ নেতা গ্রেফতার ভিত্তিহীন অভিযোগেদলকে জড়িয়ে মানববন্ধন বিচার চাইলেন কৃষকদল নেতা  ঘাঘট নদীর পাড়ে ঘাঘট শিশু পার্ক এলাকায় ‘মানববন্ধন’ নামে একটি মুক্তমঞ্চের ভিত্তি প্রস্থর স্হাপন সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান – বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে ভূইয়ারহাট বাজারের ড্রেন এর কাজ। ‎গোবিন্দগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুলের‎বিচারের দাবিতে সাঁওতালদের সমাবেশ গাইবান্ধায় কৃষকদল ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভ

ডিভোর্সের প্রতিশোধে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি: কূপে স্কুলছাত্রের লাশ, গ্রেফতার ৪

NewsTimes24BD
  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধ প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অপহরণের তিন দিনপর পরিত্যক্ত টয়লেটের কূপ থেকে সাব্বির হোসেন নামের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বোনকে ডিভোর্সের জেরে পরিকল্পিতভাবে সাব্বিরকে অপহরণের পর হত্যা করে মরদেহ কূপে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাব্বিরের বোন জামাই ইউনুস আলীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপরে উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকার একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের কূপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।

নিহত সাব্বির হোসেন (১৬) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে বিশুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

এরআগে, গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজার থেকে সাব্বিরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় ইউনুস আলী ও রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন। এ ঘটনার পরদিন শনিবার (১৩ এপ্রিল) অপহরণের অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জ থানায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলী।

নিহত সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলীর অভিযোগ, উপজেলার তরফকামাল (শিয়ালগারা) গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে ইউনুস আলীর সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের কিছুদিন পর ডিভোর্স হয়। এই ডিভোর্সের ক্ষোভ থেকে সাব্বিরকে পরিকল্পিতভাবে ইউনুস আলী, রবিউল ও আলীমসহ কয়েকজন সাব্বিরকে অপহরণের পর হত্যা করেছে। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে সাব্বিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকার দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে পরিত্যক্ত একটি টয়লেটের কূপে অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে মরদেহটি সাব্বিরের বলে শনাক্ত করে। সাব্বিরকে অপহরণের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মর্গের কাজ শেষ হওয়ার পরে মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম (১৮) ও আব্দুল আলীম (১৮) ও কবিরুল ইসলামকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অপর অভিযুক্ত ইউনুস আলীকে (৩৫) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাবের সদস্যরা।

জোবায়দুর রহমান জুয়েল
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডিভোর্সের প্রতিশোধে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি: কূপে স্কুলছাত্রের লাশ, গ্রেফতার ৪

আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধ প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অপহরণের তিন দিনপর পরিত্যক্ত টয়লেটের কূপ থেকে সাব্বির হোসেন নামের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বোনকে ডিভোর্সের জেরে পরিকল্পিতভাবে সাব্বিরকে অপহরণের পর হত্যা করে মরদেহ কূপে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাব্বিরের বোন জামাই ইউনুস আলীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপরে উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকার একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের কূপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।

নিহত সাব্বির হোসেন (১৬) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে বিশুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

এরআগে, গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজার থেকে সাব্বিরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় ইউনুস আলী ও রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন। এ ঘটনার পরদিন শনিবার (১৩ এপ্রিল) অপহরণের অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জ থানায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলী।

নিহত সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলীর অভিযোগ, উপজেলার তরফকামাল (শিয়ালগারা) গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে ইউনুস আলীর সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের কিছুদিন পর ডিভোর্স হয়। এই ডিভোর্সের ক্ষোভ থেকে সাব্বিরকে পরিকল্পিতভাবে ইউনুস আলী, রবিউল ও আলীমসহ কয়েকজন সাব্বিরকে অপহরণের পর হত্যা করেছে। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে সাব্বিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকার দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে পরিত্যক্ত একটি টয়লেটের কূপে অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে মরদেহটি সাব্বিরের বলে শনাক্ত করে। সাব্বিরকে অপহরণের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মর্গের কাজ শেষ হওয়ার পরে মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম (১৮) ও আব্দুল আলীম (১৮) ও কবিরুল ইসলামকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অপর অভিযুক্ত ইউনুস আলীকে (৩৫) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাবের সদস্যরা।

জোবায়দুর রহমান জুয়েল
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি