প্রিন্ট এর তারিখঃ Nov 22, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Aug 26, 2025 ইং
হাসনাতকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলায় রুমিনের মন্তব্যে তোলপাড়

সম্প্রতি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যে প্রকাশ্য কথার লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি এখন রাজনৈতিক মহলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ঘটনার সূত্রপাত রোববার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানিকে ঘিরে। সেখানে বিএনপি ও এনসিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, বিএনপি আসন্ন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন ভবনের ঘটনাকে তিনি আখ্যা দেন একটি ‘টেস্ট ম্যাচ’। একই সঙ্গে তিনি রুমিন ফারহানাকে ইঙ্গিত করে বলেন, বিএনপির মধ্যেও অনেকে আছেন, যারা আওয়ামী লীগের থেকেও বেশি আওয়ামী লীগ। তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা। তিনি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, ফ্ল্যাটভোগী এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টাকারী।
তবে কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া আরেকটি পোস্টে হাসনাত স্পষ্ট করে জানান, নারীর রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোক না কেন, তার শরীর, ব্যক্তিগত জীবন বা সম্পর্ককে টেনে এনে ‘স্লাটশেমিং’-এর অধিকার কারো নেই।
অন্যদিকে, সোমবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় রুমিন ফারহানা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি লিখেন, “এটা ওই ফকিন্নির বাচ্চাটা না, যে আমাকে আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক বলেছে?” একই সঙ্গে তিনি হাসনাত আবদুল্লাহর ছাত্রলীগ-সংশ্লিষ্টতা দাবি করে কিছু ছবি ও তথাকথিত দলীয় প্যাডের স্ক্রিনশট যুক্ত করেন। তবে যাচাই করে দেখা গেছে, সেই প্যাডটি ভুয়া। এর আগেও অনুরূপ ভুয়া প্যাডে অন্যদের নাম প্রচার করা হয়েছিল, এমনকি মজাচ্ছলে ফুটবলার লিওনেল মেসির নামও জুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
রুমিন ফারহানার এ মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ তার বক্তব্যকে অশালীন উল্লেখ করে সমালোচনা করেন, আবার কেউ সমর্থনও জানান। ফলে নেটমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
এর আগের দিন এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে রুমিন বলেছিলেন, আমি একজন নারী। শুনানিতে আমাকে প্রথমে ধাক্কা দেওয়া হয়। আমার লোকজন বসে থাকবে কেন? তাদের প্রতিক্রিয়ায় যা ঘটেছে, সেটা স্বাভাবিক। বিষয়টি অতিরঞ্জিত করার কিছু নেই।
সবশেষে, রুমিন ও হাসনাত - দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। তবে দুই রাজনৈতিক দলের নেতার প্রকাশ্য কটূক্তি, ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং অশালীন ভাষা ব্যবহার রাজনীতির শালীনতা ও ভদ্রতার প্রশ্নও সামনে এনে দিয়েছে
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ এস, এম, এফ মিডিয়া গ্রুপ