প্রিন্ট এর তারিখঃ Aug 11, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Aug 9, 2025 ইং
জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য, কমিশনের মেয়াদ শেষের পথে

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, কিন্তু এখনও চূড়ান্ত হয়নি বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’। এই সনদ চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে, পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় বৈঠক হবে। দলগুলোর প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আশা করছেন, দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ছয় মাসের জন্য কার্যক্রম শুরু করে কমিশন। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল জুলাই মাসেই সনদ চূড়ান্ত করা। কিন্তু মতপার্থক্যের কারণে তা হয়নি। খসড়া সনদে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে দলগুলো। বিএনপি এতে আপত্তি না জানালেও জামায়াত ও এনসিপি চাইছে, সংস্কারগুলো নির্বাচনের আগেই এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাস্তবায়ন করা হোক। পাশাপাশি সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “যে বিষয়ে সবাই একমত, তা দ্রুত ঘোষণা করে নির্বাচনের আগে আইনি রূপ দিতে হবে।” এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদীবও একই মত দেন এবং কিছু সংস্কার বাস্তবায়নে একমত না হলে সনদে স্বাক্ষর না করার অবস্থান জানান।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সাংবিধানিক সংশোধনী ছাড়া বাকী সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তী সরকারই বাস্তবায়ন করতে পারে। আইন সংশোধনী, নির্বাহী আদেশ ও অফিস আদেশের মাধ্যমেই তা সম্ভব।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা হয়ে গেছে, তাই যা হয়েছে তার ভিত্তিতেই স্বাক্ষর হওয়া উচিত। দলগুলোর মতবিরোধকে তিনি রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে দেখছেন।
এখন প্রশ্ন রয়ে গেছে—১৫ আগস্ট কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলো চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে কি না।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ এস, এম, এফ মিডিয়া গ্রুপ