প্রিন্ট এর তারিখঃ Jul 18, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Jul 13, 2025 ইং
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কলেজে ভর্তিতে কোটা যুক্ত হতে পারে

চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম। প্রতি বছরের মতো এবারও ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন শিক্ষাবর্ষ ২০২৫-২৬ এর এই নীতিমালায় আসছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি আসতে পারে কোটা বণ্টনে। খসড়া নীতিমালায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব উঠেছে। এতে অভ্যুত্থানে আহত বা নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ সুবিধা রাখার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, বাতিল করা হতে পারে দীর্ঘদিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কোটা। শিক্ষা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার মতে, স্বাধীনতার ৫৫ বছর পর এ ধরনের কোটা রাখার যৌক্তিকতা নেই। তারা বলছেন, কলেজ পর্যায়ে এই কোটায় আসন সংরক্ষণ আর প্রয়োজনীয় নয়।
বর্তমানে কার্যরত নীতিমালায়, ৯৩ শতাংশ আসন সাধারণ মেধা কোটায় ভর্তি হয় এবং বাকি ৭ শতাংশ বিভিন্ন কোটায়। এর মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য, আর ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত।
তবে বোর্ড কর্মকর্তারা এবার সব ধরনের কোটা বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের মতে, ‘নাতি-নাতনি’ কোটা ইতোমধ্যে বাতিল হয়েছে, এখন ‘পোষ্য’ কোটা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটা বিলুপ্তির সময় এসেছে।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি অংশ বলছে, নতুন কিছু কোটা যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। কারণ, ‘চব্বিশে জুলাই’ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এবারই প্রথম কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হচ্ছে। অনেক ‘জুলাই যোদ্ধা’ এবার এসএসসি পাস করেছেন বা তাদের পরিবারের সদস্যরা ভর্তির অপেক্ষায় আছেন। তাদের জন্য সীমিত পরিসরে কোটা রাখা হতে পারে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, ভর্তির চূড়ান্ত নীতিমালা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই কোটা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসহ সব বিষয় চূড়ান্ত হবে।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ এস, এম, এফ মিডিয়া গ্রুপ