সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এতে ৫৬৯ কোটি ২৯ হাজার টাকা ব্যয় হবে। আজ বুধবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
১ কার্গোতে থাকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫২ মার্কিন ডলার।
এদিকে চলতি জুন মাসে ২৫ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো জাপিন (বিএসপি) থেকে তা আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ২০৯ কোটি টাকা। প্রতি ব্যারেলের প্রিমিয়াম মূল্য ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৯৩ মার্কিন ডলার এবং রেফারেন্স মূল্য ৭৩ দশমিক ৬১ মার্কিন ডলার।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ভেতরেও জ্বালানি তেল কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হয়েছে। সংঘাত শুরুর আগে যে দাম ছিল, যুদ্ধ বন্ধের পর তা কমেছে। পুনঃ দরপত্র ডেকে ৫ থেকে ১০ ডলার কমে পাওয়া গেছে, যেখানে প্রায় ৭০-৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা এনার্জি মন্ত্রণালয়ের একটা কৃতিত্ব।
এ ছাড়া ৩ দেশ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কানাডা থেকে আসবে ৪০ হাজার টন এমওপি, তিউনিসিয়া থেকে ২৫ হাজার টন টিএসপি এবং মরক্কো থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার। এতে মোট ৬৮১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রতি টনের দাম পড়ছে এমওপি সার ৩৪২ মার্কিন ডলার, টিএসপি সার ৫৫০ ডলার এবং ডিএপি সার ৭১০ মার্কিন ডলার।